জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য মা মাটিয়া কালী ও পঞ্চমুন্ডি বাণলিঙ্গ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আমিনপুর গ্রামের মাটিয়া কালী পূজা ৩০০ বছরেরও পুরনো। দিনাজপুর রাজ প্রানো নাথ রায়ের সমকালীন ছিলেন রাজা রাঘবেন্দ্র রায়। দিল্লি বাদশা সম্রাট ঔরঙ্গজেব এর কাছ থেকে চৌধুরী উপাধি লাভ করেন মোগল আনুগত্যের জন্য। হরিপুর ইস্টেটের বড় তরফ জমিদার রাঘবেন্দ্র রায়চৌধুরী সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে মা মাটিয়া কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পূজা শুরু করেন। আমিনপুরে ছিল জমিদারের কাছারিবাড়ি।এই কাছারিবাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে পঞ্চ বৃক্ষের নীচে পূজা হয় মা মাটিয়া কালীর। কোন মন্দির নেই। সমতল ভূমি থেকে কুড়ি /কুড়ি হাত বর্গক্ষেত্রের একহাত উচ্চ বেদীর উপর তিন হাত উচ্চ বেদি ই মায়ের থান। মায়ের নির্দেশেই কোন মন্দির নির্মাণ হয়নি। সম্পূর্ণ মণ্ডপটি মাটি দিয়ে তৈরি। শোনা যায় যে রাঘবেন্দ্র রায়চৌধুরীর বংশধর রবীন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী আসনের উপর পাকা মন্দির নির্মাণের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু তিনি স্বপ্নাদেশ পান ওই স্থানে পাকা মন্দির বা ঘর নির্মাণ করলে তিনি সবংশে নিধন হবেন। এজন্য উৎসবের স্থানে কোনো ঘর বা মন্দির নির্মাণ হয়নি। পূজোর সময় প্রতিমার উপরে চাদোয়া বা কাপড় টাঙিয়ে দেওয়া হয়। শুধু পাকা মন্দির বা ঘর নয় । মাটি ছাড়া অন্য কোন প্রকার জিনিসের ব্যবহারও বোধহয় নিষিদ্ধ ছিল । কারণ শোনা যায় বেদির চারপাশের ১০/১২ বিঘা জমির মধ্যে কোন রকম কাঠের আসনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। জমিদারের কাছারিবাড়ির ঘরেও কাঠের আসনে বসতে বা শুতে পারতো না । এমনকি জমিদার স্বয়ং কাছারিবাড়িতে এলে তিনিও কাঠের উপরে বসতে বা শুতে পারতেন না। কারণ একবার জোর করে উক্ত সীমানার মধ্যে কাঠের উপরে বসতে গিয়ে জমিদার দৈব শক্তির প্রভাবে ভূপতিত হয়েছিলেন।
মা এতটাই জাগ্রত যে আশেপাশের কেউ খাট বা চেয়ারে বসতে বা শুতে পারতেন না। সে সময় সকলেই মাটিতে ঘুমোতেন সেই নিয়ম মেনে আজও শুধুমাত্র পুজার দিন গ্রামের সকলেই মাটিতে ঘুমান।
মায়ের পূজা শুরু সম্বন্ধে অন্য একটি কিংবদন্তী আছে মাটিয়া কালীর বেদি মন্ডপ যে স্থানে অবস্থিত, সেই স্থানে বহু পূর্বে জনৈক সিদ্ধপুরুষ এর পঞ্চমুন্ডির আসন ছিল এবং তিনি সেই স্থানেই সিদ্ধিলাভ করেন । জমিদার রাঘবেন্দ্র রায় কে প্রতি কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঐ স্থানে পূজা দেওয়ার জন্য তিনি স্বপ্নাদেশ করেন । সেই থেকেই ঐ স্থানে অমাবস্যা তিথিতে মহাসমারোহে মায়ের পুজা হয়ে আসছে।
পূজা শুরুর দুটো ভিন্নমত থাকলেও স্বপ্নাদেশে জমিদার পুজার প্রচলন করেন তার মিল রয়েছে । স্বপ্নাদেশে প্রচলিত পুজা সেই থেকে প্রতি দীপাবলি অমাবস্যা তিথিতে মা মাটিয়া কা লীর বার্ষিকী পুজা হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও দীপাবলি অমাবস্যায় ও রটন্তী চতুর্দশীতে মায়ের পুজা হতো । বর্তমানে রটন্তী চতুর্দশীর পুজা বন্ধ হয়ে গেছে । যদিও এতে মূর্তিপুজা হতো না । মূর্তিপুজা শুধু দীপাবলীর অমাবস্যা তিথিতে মায়ের পুজা হয়। মায়ের প্রতি প্রবল ভক্তি শ্রদ্ধায় অগণিত ভক্তরা আসেন মায়ের পুজায়। মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য মায়ের চরণে পাঠা নিবেদন করেন । দুইশতাধিক পাঠা বলি হয়। জমিদারবাড়ির চার পাঁচটি পাঠা বলি দেওয়া হয় । পুজা শুরুর সময় থেকেই পাঠা ,পায়রা বলি দেওয়ার প্রচলন ছিল।
মায়ের মূর্তি গড়ার বিষয় নিয়ে অন্য একটি প্রথা আদিকাল থেকে প্রচলিত আছে। মূর্তি গড়ার জন্য যে খড়ের প্রয়োজন হয় । তা আসে মুসলিম বাড়ি থেকে। বংশ পরম্পরায় সেই বাড়ি থেকে খড় আসে। এমনকি মূর্তি গড়ার কারিগর ,পূজোর পুরোহিত সকলেই বংশ পরম্পরায় পুজো করে আসছেন । মায়ের থানে পুরোহিতরা নিত্য পুজার প্রথা এখন আর নেই । এই পুজায় খড় দেওয়া মুসলিম পরিবার অংশগ্রহণ করে।
জমিদারের কাছারিবাড়িও এখন আর নেই। ভেঙ্গে যাওয়ার পর টিনের ঘর ব্যবহারের জন্য করা হয়েছিল। সেটিও এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে । জমিদারের বর্তমান প্রজন্ম বিজয়েন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরী কর্মসূত্রে মালদা নিবাসী। বার্ধক্যজনিত কারণে পুজার দায়িত্ব নিজের কাছে না রেখে গ্রামবাসীর হাতে তুলে দিয়েছেন । বার্ষিকী পুজার দিন সপরিবারে এসে সকলের সাথে পুজার আনন্দ ভাগ করে নেন।
পঞ্চমুন্ডি বাণলিঙ্গঃভারতবর্ষের মধ্যে বিরল শিবলিঙ্গ রয়েছে আমিনপুর গ্রামে । কালো কষ্টিপাথরের পঞ্চমুন্ডি শিবলিঙ্গ। শিব লিঙ্গের উপরে বৃত্তাকারে চারটি শিবের মুখ এবং এর উপর ভাগে একটি শিবের মুখ রয়েছে । এই কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গের দুই পাশে দুটি শ্বেত পাথরের শিবলিঙ্গ স্থাপন করা রয়েছে। পঞ্চমুন্ডির আসন অর্থাৎ মা মাটিয়া কালির উপর মন্দির নির্মাণ ব্যর্থ হলেও অনতিদূরে জমিদারের কাছারিবাড়ির পুকুরধারে কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গ ও মন্দির স্থাপন করেন। এটি পঞ্চমুন্ডি বাণলিঙ্গ নামে পরিচিত। ১২১১ বঙ্গাব্দে ৭ই জ্যৈষ্ঠ ভূপশ্রী গৌরী প্রসাদ কর্তৃক মন্দির এবং মূর্তি স্থাপন করা হয় । কালক্রমে মন্দিরটি ভগ্ন হলে জমিদারের পরবর্তী প্রজন্ম বিপ্লবেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী কর্তৃক মন্দিরের পুনঃসংস্কার করা হয় ১৪০৯ বঙ্গাব্দে । ভগ্ন মন্দিরের কাঠামোকে কেন্দ্র করে নতুনের ঢালাই দেওয়া হয় । বাইরে থেকে দেখে সহজেই অনুমিত হয় মন্দিরটি নবনির্মিত। মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ পথে পুরনো মন্দির এর ছাপ পরিলক্ষিত হয়। শিবরাত্রি ছাড়াও শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার অসংখ্য ভক্ত এখানে আসেন পুজো দিতে। মন্দিরটি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন স্থানীয় বিশু সিং।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি অঞ্চলে এমন অগণিত প্রাচীন মন্দির স্থাপত্য রয়েছে। কোনোটা আংশিক সচ্ছল বা কোনটা সংস্কারের অভাবে ধ্বংসপ্রায় । সঠিক তত্ত্বাবধানে প্রাচীন স্থাপত্য গুলো সংরক্ষন করে রাখা সম্ভব। নইলে অদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন।
শুভঙ্কর রায়
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আমিনপুর গ্রামের মাটিয়া কালী পূজা ৩০০ বছরেরও পুরনো। দিনাজপুর রাজ প্রানো নাথ রায়ের সমকালীন ছিলেন রাজা রাঘবেন্দ্র রায়। দিল্লি বাদশা সম্রাট ঔরঙ্গজেব এর কাছ থেকে চৌধুরী উপাধি লাভ করেন মোগল আনুগত্যের জন্য। হরিপুর ইস্টেটের বড় তরফ জমিদার রাঘবেন্দ্র রায়চৌধুরী সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে মা মাটিয়া কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পূজা শুরু করেন। আমিনপুরে ছিল জমিদারের কাছারিবাড়ি।এই কাছারিবাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে পঞ্চ বৃক্ষের নীচে পূজা হয় মা মাটিয়া কালীর। কোন মন্দির নেই। সমতল ভূমি থেকে কুড়ি /কুড়ি হাত বর্গক্ষেত্রের একহাত উচ্চ বেদীর উপর তিন হাত উচ্চ বেদি ই মায়ের থান। মায়ের নির্দেশেই কোন মন্দির নির্মাণ হয়নি। সম্পূর্ণ মণ্ডপটি মাটি দিয়ে তৈরি। শোনা যায় যে রাঘবেন্দ্র রায়চৌধুরীর বংশধর রবীন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী আসনের উপর পাকা মন্দির নির্মাণের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু তিনি স্বপ্নাদেশ পান ওই স্থানে পাকা মন্দির বা ঘর নির্মাণ করলে তিনি সবংশে নিধন হবেন। এজন্য উৎসবের স্থানে কোনো ঘর বা মন্দির নির্মাণ হয়নি। পূজোর সময় প্রতিমার উপরে চাদোয়া বা কাপড় টাঙিয়ে দেওয়া হয়। শুধু পাকা মন্দির বা ঘর নয় । মাটি ছাড়া অন্য কোন প্রকার জিনিসের ব্যবহারও বোধহয় নিষিদ্ধ ছিল । কারণ শোনা যায় বেদির চারপাশের ১০/১২ বিঘা জমির মধ্যে কোন রকম কাঠের আসনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। জমিদারের কাছারিবাড়ির ঘরেও কাঠের আসনে বসতে বা শুতে পারতো না । এমনকি জমিদার স্বয়ং কাছারিবাড়িতে এলে তিনিও কাঠের উপরে বসতে বা শুতে পারতেন না। কারণ একবার জোর করে উক্ত সীমানার মধ্যে কাঠের উপরে বসতে গিয়ে জমিদার দৈব শক্তির প্রভাবে ভূপতিত হয়েছিলেন।
মা এতটাই জাগ্রত যে আশেপাশের কেউ খাট বা চেয়ারে বসতে বা শুতে পারতেন না। সে সময় সকলেই মাটিতে ঘুমোতেন সেই নিয়ম মেনে আজও শুধুমাত্র পুজার দিন গ্রামের সকলেই মাটিতে ঘুমান।
মায়ের পূজা শুরু সম্বন্ধে অন্য একটি কিংবদন্তী আছে মাটিয়া কালীর বেদি মন্ডপ যে স্থানে অবস্থিত, সেই স্থানে বহু পূর্বে জনৈক সিদ্ধপুরুষ এর পঞ্চমুন্ডির আসন ছিল এবং তিনি সেই স্থানেই সিদ্ধিলাভ করেন । জমিদার রাঘবেন্দ্র রায় কে প্রতি কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঐ স্থানে পূজা দেওয়ার জন্য তিনি স্বপ্নাদেশ করেন । সেই থেকেই ঐ স্থানে অমাবস্যা তিথিতে মহাসমারোহে মায়ের পুজা হয়ে আসছে।
পূজা শুরুর দুটো ভিন্নমত থাকলেও স্বপ্নাদেশে জমিদার পুজার প্রচলন করেন তার মিল রয়েছে । স্বপ্নাদেশে প্রচলিত পুজা সেই থেকে প্রতি দীপাবলি অমাবস্যা তিথিতে মা মাটিয়া কা লীর বার্ষিকী পুজা হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও দীপাবলি অমাবস্যায় ও রটন্তী চতুর্দশীতে মায়ের পুজা হতো । বর্তমানে রটন্তী চতুর্দশীর পুজা বন্ধ হয়ে গেছে । যদিও এতে মূর্তিপুজা হতো না । মূর্তিপুজা শুধু দীপাবলীর অমাবস্যা তিথিতে মায়ের পুজা হয়। মায়ের প্রতি প্রবল ভক্তি শ্রদ্ধায় অগণিত ভক্তরা আসেন মায়ের পুজায়। মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য মায়ের চরণে পাঠা নিবেদন করেন । দুইশতাধিক পাঠা বলি হয়। জমিদারবাড়ির চার পাঁচটি পাঠা বলি দেওয়া হয় । পুজা শুরুর সময় থেকেই পাঠা ,পায়রা বলি দেওয়ার প্রচলন ছিল।
মায়ের মূর্তি গড়ার বিষয় নিয়ে অন্য একটি প্রথা আদিকাল থেকে প্রচলিত আছে। মূর্তি গড়ার জন্য যে খড়ের প্রয়োজন হয় । তা আসে মুসলিম বাড়ি থেকে। বংশ পরম্পরায় সেই বাড়ি থেকে খড় আসে। এমনকি মূর্তি গড়ার কারিগর ,পূজোর পুরোহিত সকলেই বংশ পরম্পরায় পুজো করে আসছেন । মায়ের থানে পুরোহিতরা নিত্য পুজার প্রথা এখন আর নেই । এই পুজায় খড় দেওয়া মুসলিম পরিবার অংশগ্রহণ করে।
জমিদারের কাছারিবাড়িও এখন আর নেই। ভেঙ্গে যাওয়ার পর টিনের ঘর ব্যবহারের জন্য করা হয়েছিল। সেটিও এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে । জমিদারের বর্তমান প্রজন্ম বিজয়েন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরী কর্মসূত্রে মালদা নিবাসী। বার্ধক্যজনিত কারণে পুজার দায়িত্ব নিজের কাছে না রেখে গ্রামবাসীর হাতে তুলে দিয়েছেন । বার্ষিকী পুজার দিন সপরিবারে এসে সকলের সাথে পুজার আনন্দ ভাগ করে নেন।
পঞ্চমুন্ডি বাণলিঙ্গঃভারতবর্ষের মধ্যে বিরল শিবলিঙ্গ রয়েছে আমিনপুর গ্রামে । কালো কষ্টিপাথরের পঞ্চমুন্ডি শিবলিঙ্গ। শিব লিঙ্গের উপরে বৃত্তাকারে চারটি শিবের মুখ এবং এর উপর ভাগে একটি শিবের মুখ রয়েছে । এই কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গের দুই পাশে দুটি শ্বেত পাথরের শিবলিঙ্গ স্থাপন করা রয়েছে। পঞ্চমুন্ডির আসন অর্থাৎ মা মাটিয়া কালির উপর মন্দির নির্মাণ ব্যর্থ হলেও অনতিদূরে জমিদারের কাছারিবাড়ির পুকুরধারে কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গ ও মন্দির স্থাপন করেন। এটি পঞ্চমুন্ডি বাণলিঙ্গ নামে পরিচিত। ১২১১ বঙ্গাব্দে ৭ই জ্যৈষ্ঠ ভূপশ্রী গৌরী প্রসাদ কর্তৃক মন্দির এবং মূর্তি স্থাপন করা হয় । কালক্রমে মন্দিরটি ভগ্ন হলে জমিদারের পরবর্তী প্রজন্ম বিপ্লবেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী কর্তৃক মন্দিরের পুনঃসংস্কার করা হয় ১৪০৯ বঙ্গাব্দে । ভগ্ন মন্দিরের কাঠামোকে কেন্দ্র করে নতুনের ঢালাই দেওয়া হয় । বাইরে থেকে দেখে সহজেই অনুমিত হয় মন্দিরটি নবনির্মিত। মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ পথে পুরনো মন্দির এর ছাপ পরিলক্ষিত হয়। শিবরাত্রি ছাড়াও শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার অসংখ্য ভক্ত এখানে আসেন পুজো দিতে। মন্দিরটি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন স্থানীয় বিশু সিং।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি অঞ্চলে এমন অগণিত প্রাচীন মন্দির স্থাপত্য রয়েছে। কোনোটা আংশিক সচ্ছল বা কোনটা সংস্কারের অভাবে ধ্বংসপ্রায় । সঠিক তত্ত্বাবধানে প্রাচীন স্থাপত্য গুলো সংরক্ষন করে রাখা সম্ভব। নইলে অদূর ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন।
No comments:
Post a Comment