সম্পাদক : শুভঙ্কর রায় ঠিকানাঃ নওগাঁ পদপাড়া, পোঃ করদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর।৭৩৩১৪২ কথাঃ 9735069594/9831839558
Saturday, May 23, 2020
আলাপন সাহিত্য পত্রিকাঃ জুন সংখ্যা
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Monday, May 11, 2020
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন স্থাপত্য ইতিহাস
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন স্থাপত্য ইতিহাস
শুভঙ্কর রায়
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Sunday, May 10, 2020
সূর্য পুজা
সূর্য পূজা ঃ দক্ষিণ দিনাজপুর।
শুভঙ্কর রায়
সূর্য পূজা বা সৌরধর্মের যে নিদর্শন আমরা প্রাচীনজ বাংলায় পাই , তার সাথে বেদের সূর্য দেবতার পূজার কোন সম্বন্ধ নেই । এটি প্রাচীন পারস্যের অগ্নি উপাসক, পুরোহিত সম্প্রদায় এবং আক্রমণকারী শক - কুশান শাসকগণ দ্বারা আনীত সূর্য পূজা । ভারতীয়রা তাদের অন্তর্নিহিত সমন্বয় প্রতিভার শক্তিতে একে আপন করে নিয়েছে এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে রূপায়িত করেছে । ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রভাবে সূর্যের ধ্যান, প্রণাম প্রভৃতি সৃষ্টি হয়ে এটি এখন বাঙালির নিত্যপূজা ও নানাব্রতের অঙ্গীভূত হয়েছে ।
বাংলায় সূর্য পূজার জনপ্রিয়তার একটি প্রধান কারণ এই যে, দেব পূজার দ্বারা মনোবাঞ্ছা পূরণ ছাড়াও সূর্যের বিশেষ রোগ প্রশমন ক্ষমতা আছে বলে সাধারণের বিশ্বাস। অধুনা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় আদি গুপ্তযুগের প্রাপ্ত সূর্য মূর্তি বাংলার প্রাচীন সূর্য মূর্তির নিদর্শন বলে মনে করেন পণ্ডিতগণেরা। পাল যুগের ও অনেক সূর্য মূর্তি পাওয়া গেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার কসবা বৈরহাটা গ্রামের একটি আসিন সূর্য মূর্তি উল্লেখযোগ্য এই মূর্তির পাদদেশে লেখা আছে ,"সমস্ত রোগানাম হর্তা" । অর্থাৎ এই কথা অনুসারে বলা যায় সকল রোগের নিরাময় কারী দেবতা হলেন সূর্যদেবতা। সূর্যের আরোগ্যকারী শক্তি এই পূজার জনপ্রিয়তার একটি কারণ বলে মনে হয়।
গুপ্তা সম্রাটরা ‘পরম সৌর’ ছিলেন । আদি গুপ্তযুগের দুইটি সূর্য মূর্তি পাওয়া গেছে উত্তর বঙ্গে । বাংলার এই অংশ ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির অন্তর্গত এবং এখানে গুপ্তাধিপত্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বহুদিন অব্যাহত ছিল। গুপ্ত সম্রাট কুমার গুপ্ত একটি সূর্য মন্দির নির্মাণ করেন। অনুমান করা যায় গুপ্ত যুগে সৌর ধর্ম প্রসার লাভ করেছিল এবং পাল ও সেন যুগে এর প্রতিপত্তি ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
প্রাচীন যুগ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সূর্য পূজার প্রচলন হয়েছে একথা প্রমাণিত। বর্তমান যুগের সূর্য ভক্তি বা পূজার রীতি সমানভাবে রয়েছে । ধর্মপ্রাণ মানুষেরা স্নান করে সূর্যদেবকে প্রাণভরে ভক্তি নিবেদন করেন। পূজা বা ভক্তি-শ্রদ্ধা থাকলেও নতুন কোন সূর্য মূর্তি বা মন্দির স্থাপন লক্ষ্য করা যায় না। এই জেলার বিভিন্ন গ্রামের মেয়েরা যে সূর্য পূজা করে থাকে তা ঠিক স্থাপিত মূর্তিপূজা নয়। নিজেরা অস্থায়ী মূর্তি করে এবং পূজা শেষে জলে ভাসান নিজেরাই। মাঘ মাসের পঞ্চমী থেকে মাঘী পূর্ণিমা পর্যন্ত সূর্য পূজা পালন করা হয়। যারা সূর্য পূজা পালন করেন তাদের স্থানীয় ভাষায় ব্রতী বা বা বর্তি বলা হয় । গ্রামের কোন এক নির্দিষ্ট বাড়িতে ব্রতীরা একত্রিত হয়ে পুজা করেন । মূলত এটি মেয়েলি ব্রত। সূর্য পূজা সাধারণত রবিবার বা বৃহস্পতিবার করার নিয়ম। পূজার আগের দিন সকালে নদী বা পুকুর থেকে মাটি এনে সূর্য ঠাকুরের অবয়ব তৈরি করেন। বাড়ির উঠোনে লম্বা করে শোয়ানো মূর্তি তৈরী করেন । মূর্তিটি লম্বা অন্তত ৮ থেকে ১০ ফুট চওড়া ১ থেকে ২ ফুট এবং উচ্চতা ১/২ ফুট মত । আকৃতি নির্ভর করে প্রতি সংখ্যার উপর সংখ্যা যত বেশি হবে তত বড় হবে । বর্তীদের পূজার ঘট স্থাপনের জন্য মূর্তির দুপাশে বেদি তৈরি করা হয়। মূর্তিতে ফুলমালা দিয়ে সাজানো হয় । মাটির মূর্তি পূজা হলেও আকাশে উদীয়মান সূর্যের উদয় এবং অস্ত যাওয়ার নিরিখে পূজা হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ পূজার দিন সকালে সূর্যোদয়ের পূর্বে শক্ত হয়ে নিজেদের ঘরে পূর্বদিক হয় এবং পূজা সামগ্রী সাজিয়ে এক হাতে অন্য হাতে মাটির প্রদীপ নিয়ে সূর্য ঠাকুরের চারদিকে প্রদক্ষিণ করেন আকাশের দিকে তাকিয়ে । চারিপাশে ঘোরার সময় অনেকে সূর্য ঠাকুরকে নিয়ে ছড়া কাটেন,কেউ জয়ধ্বনি-উলুধ্বনি দেন সূর্যের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য । এমনই একটি গ্রাম্য ছড়া —
"উঠো উঠো সূর্যাই, ঝিকিমিকি দিয়া
তোমারে পূজিবো আমি রক্ত জবা দিয়া
উঠো উঠো সূর্যাই রে, ঝিকিমিকি দিয়া ।
উঠিতে না পারি আমি হিমালির লাগিয়া।
উত্তর আলা কদম গাছটি দক্ষিণ আলা বাওরে।
গা তোল গা তোল সূর্যাই,ডাকে তোমার মাওরে।
শিয়রে চন্দনের বাটি বুকে ছিটা পড়েরে।
গা তোল গা তোল সূর্যাই ডাকে তোমার মাওরে ।"
যতক্ষণ সূর্য আকাশে সূর্য উদয় না হচ্ছে ততক্ষণ প্রদক্ষিণ করে এবং সূর্য দেখা দিলেই সূর্যকে প্রণাম করে নিজের নিজের ঘটের পাশে রেখে দেবে। পুরোহিত এসে পূজা করেন ।
পূজা শেষে কেউ কেউ নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আবার অনেকে গল্প-গুজব করে সারাদিন কাটিয়ে দেন। আবার সন্ধ্যে বেলা সূর্য অস্ত যাবার প্রাকমুহুর্তে সবাই হাজির হন এবং বিকেলে ঘট ও পূজার উপকরণ পশ্চিম দিক সাজানো হয় সকালের মতো করে সন্ধ্যাবেলা ঠাকুরকে প্রদক্ষিণ করে যতক্ষণ না সূর্য অস্ত যায়। সূর্য ডুবে গেলে পূজা পাট শেষ করে সবাই উপোস ভঙ্গ করেন। পরদিন মূর্তি ভেঙে নদী বা পুকুরে নিয়ে যায়।
মূলত রোগ ব্যাধি দূর পারিবারিক সুখ শান্তি ও নানারকম মনের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য মেয়েরা এই ব্রত করে থাকেন। বর্তমানে এই রীতি র পূজা খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না।
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Saturday, May 9, 2020
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার লোকাচার ঃঃ প্রসঙ্গ গোফাগুনি
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার লোকাচারঃপ্রসঙ্গ গো-ফাল্গুনি/গো-ফাগুনি
শুভঙ্কর রায়
প্রাচীন সভ্যতায় ধর্মভাব উদ্ভবের সময় প্রাকৃতিক শক্তিকে দেব - দেবী হিসেবে কল্পনা করে পুজাচারের সূচনা ঘটেছিল , প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য । তেমনি বন্য সভ্যতায় জীবজন্তুর সঙ্গে বসবাসের ফলে নানারকম জীবজন্তুর আক্রমণের ভীতি থেকে জীবজন্তুর পুজার বিশ্বাস জন্মে । ফলত জীবজন্তুর পুজার মূলে রয়েছে ভীতি মিশ্রিত শ্রদ্ধা । গরুকে মাতৃ রূপে কল্পনা করে তার পুজার প্রচলন শুধুমাত্র ভারতীয় নয়, মিশরীয় সভ্যতায়ও ছিল । সেখানে ভিন্ন জন্তুকে ভিন্ন দেবত্ব আরোপ করে বিভিন্ন নাম দিয়েছেন । গো - দেবতা ছিলো আয়িসিস । গো - দেবতার পুজা শুধু বাংলা বা ভারতবর্ষে নয়, পৃথিবীর সবদেশেই প্রচলিত রয়েছে । গরু গ্রাম বাংলার এক অমূল্য প্রাণী সম্পদ । চাষের কাজে বলদ ব্যবহৃত হয় আর দুগ্ধবতী গাভী অর্থাৎ গাই গরুর দুধে খেয়ে - বেঁচে জীবনধারণ করে থাকে গ্রামীণ মানুষ । তাই গরুকে কেন্দ্র করে হিন্দু পরিবারে নানারকম আচার - অনুষ্ঠান ও সংস্কার রয়েছে । গো - ফাল্গুনি গরুকেন্দ্রিক একটি পুজাচার । ফাল্গুন মাসের সংক্রান্তিতে পূজা করা হয় বলে এই পূজার নাম হয়েছে গো - ফাল্গুনি । আর গো - ফাল্গুনি থেকে গো - ফাগুনি বা গো - ফাগুনা নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে হয় । ফাল্গুন মাসে গো - পুজার থেকে গো - ফাগুনি নাম হাওয়ার কারণ হতে পারে বা গো ইংরেজি শব্দের অর্থ যাওয়া তার সঙ্গে বাংলা মাস ফাল্গুন এ গো কেন্দ্রিক পুজাকে গো ফাল্গুনি বলে । সে যাইহোক ফাল্গুন মাসে গো - পুজার থেকে গো - ফাল্গুনি নামটি হাওয়ার পক্ষেই যুক্তিসংগত মনে হয় ।
মূলতঃ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় যেসব গোষ্ঠী বা জাতি ও সম্প্রদায় বসবাস করছে ,তাদের বেশির ভাগ অংশই কৃষিজীবী। বহুকাল পূর্ব থেকেই কৃষি জেলার মূল ভিত্তি । প্রাচীন কালে দিনাজপুর পৌন্ড্রবর্দ্ধন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এই জনপদ ইক্ষু চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। এ কথা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। কৃষি কাজের সাথে গরুর সম্পর্ক নিগূঢ় । আর এই কৃষিকাজের জন্যই গবাদি পশুর যত্ন নেবার প্রয়োজনবোধ হয়েছে বহুকাল আগেই। প্রচন্ড শীত ,অতিবৃষ্টি ও গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ থেকে রক্ষা পাবার জন্য মানুষ শুধু নিজের গৃহ নির্মাণ করেনি,গৃহপালিত পশু -পাখীর জন্যও আশ্রয়স্থান তৈরি করেছে। তাদের খাদ্য-পানীয়ের ব্যবস্থা করেছে। আর তাদের প্রতি কু-নজর বা খারাপ প্রভাব ও রোগব্যধি থেকে রক্ষা করতে শুরু করে গো-পুজা। এ থেকে বলা যায় পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মতো এতদা অঞ্চলে ও অতিপ্রাচীন কাল থেকেই গো-পুজার প্রচলন রয়েছে। তবে বিষহরি বা শিতলী পুজার মতো ব্যাপক প্রচলন ঘটেনি। এতদা অঞ্চলের গোফাগুনি পুজার অনুরূপ পুজাচার নিয়ে শিবতপন বসু তাঁর ‘পশ্চিমবঙ্গের উত্তর পূর্বাঞ্চলের লোক সংস্কৃতি’
গবেষনা পত্রে উল্লেখ করেছেন—“পশ্চিম বাংলার উত্তর পূর্বাঞ্চলের বোড়ো ও মেচ উপজাতির মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তিতে গো-পুজার প্রচলন রয়েছে। রাভা উপজাতির রাখাল সেবা গবাদি পশুর মঙ্গলার্থে অনুষ্ঠিত হয়। কার্তিক মাসে জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলার চা-বাগিচা অঞ্চল সমূহে ওঁরাও,মুন্ডা,সাঁওতাল প্রভৃতির সোহরাই উৎসব প্রকৃতপক্ষে গো-দেবতার পুজা। ”
আবার লোকসংস্কৃতি গবেষক ওয়াকিল আহমেদ ‘বাংলা লোকসংস্কৃতি’ গ্রন্থে গো-পুজা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন —“হিন্দু বাঙালি গরুকে দেবতাজ্ঞানে পুজা করে। হিন্দু শাস্ত্রে গো-হত্যা মহাপাপ। গো-জাতি দেবকন্যা সুরভির সন্তান বলে ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে। ‘ঋগ্বেদে’ গরুর সঙ্গে পৃথিবীর অলৌকিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। ‘আবেস্তা’-য় এক দেবতার নাম হল ‘জিউস উর্বন’ যার অর্থ গরুর আত্মা । এতে গরুকে সমস্ত প্রাণীজগতের রক্ষক বলা হয়েছে। প্রাচীন মিশরে দুগ্ধবতী গাভী বা ‘হ্যাথর’ দেবতা জ্ঞানে পুজা পেত। ” এই তথ্য থেকে বোঝা যায় প্রাচীন কাল থেকেই গো-পুজার প্রচলন চলে আসছে।
গো-ফাল্গুনির দিন সকালে সব গরুকে গা ধুয়ে দেওয়া হয়। পাছনের পরিবর্তে বিষকাটালী (এক ধরনের বিষাক্ত গাছ , যা গুল্ম জাতীয় ) ও জলবন্যার (হিজল) ডাল দিয়ে গরুকে খেদিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গরুর পায়ে ও কপালে আবির ও সিঁদুর , ধান ও দূর্বা দিয়ে পুজা দেওয়া হয়। গোয়াল বা খাটালের সামনে নানারকম কাটাযুক্ত গাছের ডাল পুরি ধোঁয়া দেওয়া হয়। গোয়াল ঘরে দরজার সামনে কচ্ছপের খোলস টাঙানোর নিয়মও দেখা যায় বৈশ্য কাপালী সমাজে । বিশ্বাস এতে কোনো কু-নজর লাগে না। মূলত এই আচারে গাছ-গাছড়ার প্রভাব জড়িয়ে আছে। লোক বিশ্বাস এতে গরুর রোগ প্রতিষেধকের কাজ করে। ইউরোপ মহাদেশের কৃষকরাও গরুর মঙ্গল কামনায় গাছের ডাল দিয়ে গরুকে খেদায়। ইংল্যাণ্ডেও এ আচার প্রচলিত আছে। ইংল্যাণ্ডের আচার সম্বন্ধে শরৎচন্দ্র মিত্রের লেখা উল্লেখ করা যেতে পারে — "Under the influence of the animistic belief,the uncultured folk throughout the British Islands regard the mountain -ash , rowantree, wicken-tree and whitty-tree in the right of protectives against witchcraft, and strick beast with a branch of anyone of the same , by doing which the believe that their cattle will remain hale and hearty."
এই পুজার জন্য কোনো পুরোহিত প্রয়োজন হয়না। গরুর মালিক বা গৃহকর্ত্রী এই পুজা করে থাকেন। গো-কেন্দ্রিক পুজাচার,যেমন গো-পুজা, গোয়াল পুজা, গোরক্ষনাথের পুজা,গরু উপলক্ষ্য এ ত্রিনাথ পুজা বা মেলা এবং পৌষ সংক্রান্তিতে গরুকে পিঠা খাওয়ানো,গরু চুমানি, এদের মধ্যে ত্রিনাথ পুজার পরেই গো-ফাগুনি বা গো-ফাল্গুনির আচারই বর্তমানে বেশি পরিলক্ষিত হয়। মানুষের মনের মধ্যে লোক বিশ্বাস যতদিন বজায় থাকবে এইসব পুজাচার ততদিন থাকবে।
শুভঙ্কর রায়
করদহ। তপন। দঃদিনাজপুর। ৭৩৩১৪২
৯৭৩৫০৬৯৫৯৪
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Friday, May 8, 2020
আলাপন সাহিত্য পত্রিকা
# #যুগান্তের পথে ##
সূত্রা সরকার ( সাহা )
সল্টলেক কলকাতা
যুগ থেকে যুগান্তের পথে এগিয়ে চলেছি আমরা সবাই _
সাগর থেকে মহাসাগরের অতলতলে,ডুব্ দিয়েছি ডুবুরি হয়ে,
মণি মাণিক্য রত্নরাজি পাবো বলে বুঁদ হয়ে নেশায় ।
সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত হেঁটে হেঁটে চলেছি __আগুন পায়ে,
ধরার বুকে রেখে যাবো আমরা আমাদের গলদঘর্ম অগ্নিসনান্
কর্মশালার কর্মী আমরা গেয়ে যাবো জীবন পথের গান ।
চন্দ্র আলোকিত আলোক পথে পূর্ণিমার নিশি যাপন্,
জোছনভরা মোহময়ী রাতে, কোটি কোটি গ্রহ তারকার সাথে,
তোমার আমার মিলন বেলা এঁকে যাবে জীবনের জয়গান ।
অনন্ত যাত্রার যাত্রী আমরা _নব নব নব বাণী, নব জাগরণ ,
অম্ঋতকুম্ভের সন্ধানে জীবন _নদী বাইবে খেয়া খেয়ালবিহীন,
ছড়িয়ে যাবো ফুলসুরভি, রেখে যাবো অম্ঋতগান অমঋতবাণী অন্তহীন্।
# #যুগান্তের পথে ##
সূত্রা সরকার ( সাহা )
সল্টলেক কলকাতা
যুগ থেকে যুগান্তের পথে এগিয়ে চলেছি আমরা সবাই _
সাগর থেকে মহাসাগরের অতলতলে,ডুব্ দিয়েছি ডুবুরি হয়ে,
মণি মাণিক্য রত্নরাজি পাবো বলে বুঁদ হয়ে নেশায় ।
সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত হেঁটে হেঁটে চলেছি __আগুন পায়ে,
ধরার বুকে রেখে যাবো আমরা আমাদের গলদঘর্ম অগ্নিসনান্
কর্মশালার কর্মী আমরা গেয়ে যাবো জীবন পথের গান ।
চন্দ্র আলোকিত আলোক পথে পূর্ণিমার নিশি যাপন্,
জোছনভরা মোহময়ী রাতে, কোটি কোটি গ্রহ তারকার সাথে,
তোমার আমার মিলন বেলা এঁকে যাবে জীবনের জয়গান ।
অনন্ত যাত্রার যাত্রী আমরা _নব নব নব বাণী, নব জাগরণ ,
অম্ঋতকুম্ভের সন্ধানে জীবন _নদী বাইবে খেয়া খেয়ালবিহীন,
ছড়িয়ে যাবো ফুলসুরভি, রেখে যাবো অম্ঋতগান অমঋতবাণী অন্তহীন্।
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
আলাপন রবীন্দ্র সংখ্যা
আলাপন সাহিত্য পত্রিকা
রবীন্দ্র সংখ্যাঃআমার চোখে রবীন্দ্রনাথ
এই লিংকে ক্লিক করুন
পিডিএফ পেজ ওপেন হবে..
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের/ তোমাদের কাছে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ই-বুকের ফাইনাল পিডিএফ টা প্রথমদিকে আপনাদের দিতে পারিনি। অনেক চেষ্টার পরে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল কপি উদ্ধার করা গেল ,আপনারা পড়ুন এবং মতামত দিন...
https://drive.google.com/file/d/14BlIAVIScrLMRbWMKnNeQWR-liRFjXg5/view?usp=drivesdk
রবীন্দ্র সংখ্যাঃআমার চোখে রবীন্দ্রনাথ
এই লিংকে ক্লিক করুন
পিডিএফ পেজ ওপেন হবে..
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের/ তোমাদের কাছে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ই-বুকের ফাইনাল পিডিএফ টা প্রথমদিকে আপনাদের দিতে পারিনি। অনেক চেষ্টার পরে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল কপি উদ্ধার করা গেল ,আপনারা পড়ুন এবং মতামত দিন...
https://drive.google.com/file/d/14BlIAVIScrLMRbWMKnNeQWR-liRFjXg5/view?usp=drivesdk
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Thursday, May 7, 2020
আলাপন সাহিত্য পত্রিকা
রবীন্দ্র সংখ্যাঃআমার চোখে রবীন্দ্রনাথ
ই-বুক। দয়াকরে লিংকে ক্লিক করুন-
https://drive.google.com/file/d/12BfLlB_ggVCKZrTewYQ32q0jrZ_k64gl/view?usp=drivesdk
রবীন্দ্র সংখ্যাঃআমার চোখে রবীন্দ্রনাথ
ই-বুক। দয়াকরে লিংকে ক্লিক করুন-
https://drive.google.com/file/d/12BfLlB_ggVCKZrTewYQ32q0jrZ_k64gl/view?usp=drivesdk
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Sunday, May 3, 2020
চোদ্দ শতকের বাঙালি
বরেন্দ্রভূমি আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র
সম্পাদক - শুভঙ্কর রায়
সভাপতি - প্রবীর চন্দ্র দাস
জেলা: দক্ষিণ দিনাজপুর
সূচক 733142
কথা -9735069594 / 9831839558
Email I'd - alapanlittlemag@gmail.com
বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক চর্চা করা আমাদের এই পেজ এর উদ্দেশ্য।
Subscribe to:
Posts (Atom)
দিনাজপুর জেলার ইতিহাস অনুসন্ধান দ্বিতীয় খণ্ড
দিনাজপুর জেলার ইতিহাস অনুসন্ধান ( দ্বিতীয় খণ্ড ) দিনাজপুর জেলার ইতিহাস অনুসন্ধান দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশক : চক্রবর্তী এন্ড সন্স পাবলিকেশন সম...
-
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন স্থাপত্য ইতিহাস শুভঙ্কর রায়
-
আলাপন সাহিত্য পত্রিকা রবীন্দ্র সংখ্যাঃআমার চোখে রবীন্দ্রনাথ ই-বুক। দয়াকরে লিংকে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/12BfLlB_...
-
আলাপন সাহিত্য পত্রিকা রবীন্দ্র সংখ্যাঃআমার চোখে রবীন্দ্রনাথ এই লিংকে ক্লিক করুন পিডিএফ পেজ ওপেন হবে.. প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপন...
-
আলাপন সাহিত্য পত্রিকা র ওয়েব সাইট এ সকলকে স্বাগত। কবিতা, ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ পাঠাতে যোগাযোগ করুন আলাপন সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদক: ...
-
লোকাচার গাস্বী/গার্সি ব্রত শুভঙ্কর রায় "গাস্বীর রাত্রে আমরা যে গাছের ফল ধরে না, একটি কুড়াল লইয়া সেই গাছে দুই একটি কোপ ...
-
যুগান্তের পথে সূত্রা সরকার ( সাহা ) যুগ থেকে যুগান্তের পথে এগিয়ে চলেছি আমরা সবাই _ সাগর ...
-
জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য মা মাটিয়া কালী ও পঞ্চমুন্ডি বাণলিঙ্গ শুভঙ্কর রায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আমিনপুর গ্রামের মাটিয়া...
-
সূর্য পূজা ঃ দক্ষিণ দিনাজপুর। শুভঙ্কর রায় সূর্য পূজা বা সৌরধর্মের যে নিদর্শন আমরা প্রাচীনজ বাংলায় পাই , তার সাথে বেদের সূর্য...
-
গোত্র ----সৌমেন সরকার আমি দেখেছি মানুষের মৃত্যু আর মৃত্যু দেখেছি মনুষ্যত্বের চারিদিক দাউদাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহা...